08 Jun

 'খ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো 'আকাশ';

আর 'খগ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো 'পাখি'।

২. 'পবন' শব্দের অর্থ হলো 'বাতাস';

আর 'পাবন' শব্দের অর্থ হলো 'আগুন'।

৩. 'পরভৃৎ' শব্দের অর্থ হলো 'কাক';

আর 'পরভৃত' শব্দের অর্থ হলো 'কোকিল'।

৪. 'কুমুদ' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্ম', 'কুমুদিনী' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্মের দল';

আর 'কুমুদনাথ' শব্দের অর্থ হলো 'চন্দ্র'।

৫. 'নগ' শব্দের অর্থ হলো 'পর্বত';

আর 'নাগ' শব্দের অর্থ হলো 'সাপ'।

৬. 'পাদপ' শব্দের অর্থ 'যে পা দিয়ে পান করে', 'বৃক্ষ';

আর 'পাদ্য' শব্দের অর্থ 'পা ধোয়ার জল'।

৭. 'দ্বীপ' শব্দের অর্থ হলো 'চারদিকে জল-বেষ্টিত ভূভাগ';

'দীপ' শব্দের অর্থ হলো 'প্রদীপ'/'বাতি';

আর 'দ্বিপ' শব্দের অর্থ হলো 'হাতি'।

৮. 'পুষ্কর' শব্দের অর্থ হলো 'পদ্ম';

আর 'পুষ্করিণী' শব্দের অর্থ হলো 'পুকুর'।

৯. 'আপন' শব্দের অর্থ হলো 'নিজ';

আর 'আপণ' শব্দের অর্থ হলো 'দোকান'।

১০. 'মহী', 'ক্ষিতি' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'পৃথিবী';

আর 'মহীরুহ', 'ক্ষিতিরুহ' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'বৃক্ষ'।

১১. 'জীমূত' শব্দটি দিয়ে 'মেঘ' ও 'পাহাড়' দুটোই বুঝায়।

১২. 'সরোবর' শব্দটি দিয়ে 'দীঘি' ও 'পদ্ম' দুটোই বুঝায়;

আর 'সরোদ' শব্দের অর্থ 'এক প্রকার তারের বাদ্যযন্ত্র'।

১৩. 'অটবি' শব্দটি দিয়ে 'বন' ও 'বৃক্ষ' দুটোই বুঝায়।

১৪. 'কুঞ্জ' শব্দের অর্থ হলো 'বন';

'নিকুঞ্জ' শব্দের অর্থ হলো 'বাগান';

আর 'কুঞ্জর' শব্দের অর্থ হলো 'হাতি'।

১৫. 'মৃগ' শব্দের অর্থ হলো 'হরিণ';

আর 'শাখামৃগ' শব্দের অর্থ হলো 'বানর'।

১৬. 'পানি' শব্দের অর্থ 'জল';

আর 'পাণি' শব্দের অর্থ 'হাত'।

১৭. 'শিখণ্ডী' শব্দের অর্থ হলো 'ময়ূর';

আর 'শিখরী' শব্দের অর্থ হলো 'বৃক্ষ', 'পাহাড়'।

'শিখী' শব্দের অর্থ হলো 'ময়ূর';

আর 'শাখী' শব্দের অর্থ হলো 'বৃক্ষ'।

১৮. 'কান্তা' শব্দের অর্থ হলো 'নারী';

আর 'কান্তার' শব্দের অর্থ হলো 'বন'।

১৯. 'আষাঢ়' হলো একটি মাসের নাম;

আর 'আসার' হলো 'জলকণা'/'নিদর্শন'/'চিহ্ন'।

২০. 'ভূ', 'মেদিনী', 'মহী', 'ক্ষিতি' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'পৃথিবী';

আর শব্দগুলোর সাথে যখন 'ধর' যুক্ত হয় (যেমন- ভূধর, মেদিনীধর, মহীধর, ক্ষিতিধর) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'পাহাড়';

আর যখন শব্দগুলোর সাথে 'পাল'/'নাথ'/'পতি' যুক্ত হয় (যেমন- ভূপাল, ভূপতি, মহীপাল, মহীনাথ, ক্ষিতিপাল, ক্ষিতিনাথ, ক্ষিতিপতি) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'রাজা'।

২১. 'প্রভা', 'কিরণ', 'অংশু', 'বিভা', 'ময়ূখ' শব্দগুলোর অর্থ হলো 'রশ্মি'/'আলো';

আর শব্দগুলোর সাথে যখন 'কর'/'মালী' যুক্ত হয় (যেমন- প্রভাকর, কিরণমালী, অংশুমালী, বিভাকর, ময়ূখমালী) তখন শব্দগুলোর অর্থ হয় 'সূর্য'।

২২. আমরা অনেক সময় 'সমুদ্র' এবং 'মেঘ'-এর প্রতিশব্দগুলো গুলিয়ে ফেলি কারণ এদের প্রতিশব্দগুলো প্রায় কাছাকাছি ধরণের। তাই আমরা সহজে এভাবে মনে রাখতে পারি- যে শব্দগুলোর শেষে 'ধি' থাকবে সেগুলো সমুদ্রের প্রতিশব্দ এবং যে শব্দগুলোর শেষে 'দ' বা 'ধর' থাকবে সেগুলো মেঘের প্রতিশব্দ।

যেমন- সমুদ্রের প্রতিশব্দ বারিধি, জলধি, জলনিধি, অম্বুধি, সরোধি, উদধি, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'ধি' আছে।

আবার মেঘের প্রতিশব্দ বারিদ, জলদ, অম্বুদ, তোয়দ, জলধর, পয়োধর, তোয়ধর, নীরদ, পয়োদ ইত্যাদি। লক্ষ করুন সবগুলো শব্দের শেষে 'দ' বা 'ধর' আছে।

ব্যতিক্রম: মোটামুটি একটি ব্যতিক্রমই রয়েছে সেটি হলো 'জলধর'। এই শব্দটি দ্বারা 'সমুদ্র' এবং 'মেঘ' দুটোকেই বুঝায়।

Comments
* The email will not be published on the website.
I BUILT MY SITE FOR FREE USING