10 May

উপপদ_তৎপুরুষ_সমাস:

.

এক কথায় প্রকাশ দিয়ে যত শব্দ থাকবে তা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।

.

উদা.

জলে চরে যা-জলচর

.

জল দেয় যে-জলদ

.

পঙ্কে(কাঁদায়)জন্মে যা-পঙ্কজ

.

ছা দিয়ে পোষা-ছা-পোষা

.

ছাই থেকে উৎপন্ন যে পোকা-ছারপোকা

.

ধামাধরা-ধামা ধরে যে

.

বর্ণ লুকায় যে চোর-বর্ণচোরা

.

##বহুব্রীহি_সমাস


যে সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ কোনটিরই অর্থ না বুঝিয়ে, তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ , সমস্ত পদকে বুঝিয়ে থাকে,তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।

.

উদা.খোশ মেজাজ যার--খোশমেজাজ

এখানে,পূর্বপদ খোশ মানে,খুশি আবার মেজাজ মানে,মানসিক অবস্থা।এবার দেখুন, সমস্তপদে খুশি কেও বোঝায়নি আবার মেজাজকেও বোঝায়নি

অর্থাৎ,খোশমেজাজ কে বুঝিয়েছে।মানে,ভালো মেজাজ ওয়ালা ব্যক্তিকে বুঝিয়েছে।

.

আশীতে বিষ যার-আশীবিষ

এখানে,পূর্বপদ আশী মানে,সাপের বিষ দাঁত আবার বিষ মানে,বিষ বা বিষাক্ত কিছু। এবার দেখুন, সমস্তপদে আশীবিষ মানে,সাপ অর্থাৎ,সাপের বিষ দাঁতকেও বোঝায়নি আবার বিষকেও বোঝায়নি, বুঝিয়েছে সাপকে।

.

হত হয়েছে শ্রী যার--হতশ্রী

এখানে,হত মানে,চুরি আবার শ্রী মানে,মুখমন্ডল বা সৌন্দর্য।এবার দেখুন,সমস্তপদে হতশ্রী মানে,যে খুব

অসহায়,যার কিছু নেই। অর্থাৎ,হতকেও বোঝায়নি আবার মুখকেও বোঝায়নি,বুঝিয়েছে যার কিছু নেই।

.

ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়।

.

উদা.লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই-লাঠালাঠি

হাতে হাতে যে যুদ্ধ-হাতাহাতি

কানে কানে যে শব্দ-কানাকানি

.

##নিত্যসমাস:

নিত্য সমাসের নিম্নোক্ত ছয়টা উদা.এর বাহিরে পরীক্ষায় সাধারণত আসে না।

.

যেভাবে মনে রাখবেন

.

আমরা গ্রামে নিত্য কালসাপ দর্শন করি বিরানব্বই টাকার টিকেটে।

.

ব্যাখ্যাঃ

আমরা>আমি, তুমি ও সে=আমরা

.

গ্রামে>গ্রামান্তর, গৃহান্তর

.

নিত্য >নিত্য সমাস

.

কালসাপ> কালসাপ

.

দর্শন>দর্শনমাত্র

.

বিরানব্বই>দুই এবং নব্বই=বিরানব্বই

.

##প্রাদি_সমাস

.

প্রাদি সমাসের সাথে অব্যয়ীভাব সমাসের উদা.-এর সাথে কিছুটা মিল আছে।তাই প্রাদি সমাসের নিম্নোক্ত কৌশলটি শিখে নিলে অব্যয়ীভাব সমাসে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না।প্রাদি সমাসের এ উদাহরণগুলো ছাড়া পরীক্ষায় এর বাহিরে আসে না।

.

টেকনিকঃ

.

বচন মিয়া প্রভাতে পরিভ্রমণ করে শরীরে গতি ও তাপ উৎপন্ন করল।

.

ব্যাখ্যাঃ বচন>প্রবচন

প্রভাতে>প্রভাত;পরিভ্রমণ

গতি>প্রগতি

তাপ>অনুতাপ

.

##অব্যয়ীভাব_সমাসঃ

.

শুধু মনে রাখবেন,অব্যয়ীভাব সমাসের আগে নিম্নোক্ত উপসর্গ গুলো বসে।

.

উপ, প্রতি,নি,আ,উৎ,অনু,পরি,প্র

.

এবার দেখুন--সিরিয়ালি উদাহরণ:

উপ--উপকন্ঠ,উপকূল,উপশহর,উপগ্রহ,

উপবন,উপনদী

.

প্রতি--প্রতিদিন,প্রতিক্ষণে,প্রতিবাদ,প্রতিকূল

প্রতিচ্ছায়া,প্রতিচ্ছবি, প্রতিপক্ষ

প্রত্যুত্তর-প্রতি+উত্তর,প্রতিবিম্ব।

.

নি--নিরামিষ,নির্ভাবনা, নির্জল,নিরুৎসাহ

.

আ-আসমুদ্রহিমাচল,আপাদমস্তক,আনত,

আরক্তিম,আজানুলম্বিত,আমরণ।

.

উৎ-উদ্বেল,উচ্ছৃঙ্খল এগুলো সন্ধিবিচ্ছেদ করলে উৎ উপসর্গ পাবেন।

.

অনু--অনুক্ষণ,অনুগমন,অনুধাবন

.

পরি--পরিপূর্ণ,সম্পূর্ণ(সমগ্র বুঝালে)

.

প্র-প্রপিতামহ,পরোক্ষ

.

ব্যতিক্রম শুধু ১ টা--যথা- যথারীতি, যথাসাধ্য,যথাবিধি, যথাযোগ্য

.

##উপমিত_ও_উপমান_সমাস

.

.

উপমিত:ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি মিথ্যা বা অসমান হলে উপমিত কর্মধারয়।

.

উদা. মুখ চন্দ্রের ন্যায়=মুখচন্দ্র ব্যাখ্যা:

বিবৃতিটি মিথ্যা;কারণ

মুখ কখনো চন্দ্রের মতো হতে পারে না।

অতএব,বিবৃতিটি মিথ্যা তাই এটি উপমিত

কর্মধারয়

.

পুরুষ সিংহের ন্যায়=পুরুষসিংহ

ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি মিথ্যা;কারণ পুরুষ সিংহের মতো হতে পারে না।এটি অসমান বিবৃতি। পুরুষ একশ্রেণির আর সিংহ অন্য শ্রেণির।

.

উপমান:ব্যাসবাক্যের বিবৃতিটি সত্য বা সমান হলে,উপমান কর্মধারয়।

.

উদা. অরুণের ন্যায় রাঙ্গা=অরুণরাঙ্গা

.

ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি সত্য

কারণ,অরুণ মানে লাল আবার রাঙ্গা মানেও লাল সুতরাং সত্য বিবৃতি তাই উপমান কর্মধারয় সমাস হবে।

.

তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষারশুভ্র

ব্যাখ্যা: বিবৃতিটি সত্য কারণ তুষার যেমন সাদা ঠিক তেমনি শুভ্রের রংও সাদা। অতএব,এটি উপমান কর্মধারয় ।

Comments
* The email will not be published on the website.
I BUILT MY SITE FOR FREE USING