27 Apr

প্রশ্নঃ-

বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতির সংখ্যা – ৪৫ টি।

সরকারি হিসেবে দেশের মোট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা – ৪৮ টি।

বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতি – চাকমা

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি – সাওতাল।

পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট উপজাতি বসবাস করে – ১২ টি।

বাংলাদেশে উপজাতির ভাষার সংখ্যা – ৩২ টি।

পুরুষদের চেয়ে বেশি বয়স্ক মেয়ে বিয়ে করে যে উপজাতি – তঞ্চঙ্গ্যা।

প্রকৃতি পুজারি উপজাতি – মুন্ডা ও মনিপুরী।

উপজাতীয় বর্ষবরণ উৎসবকে সামগ্রিকভাবে বলা হয় – বৈসাবি।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অাইনে যতটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও শ্রেণির জণগণের উল্লেখ অাছে – ২৭ টি।

উপজাতি, ক্ষুদ্রজাতি সত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির কখা বলা হয়েছে সংবিধানের – ২৩(ক) অনুচ্ছেদে।

লিখিত বর্ণমালা নেই যে উপজাতির – সাওতাল।

মগ উপজাতি পাহাড়ি এলাকায় পরিচিত – মারমা নামে।

মগ উপজাতি সমতল এলাকায় পরিচিত – রাখাইন নামে।

মগদের অাদি নিবাস ছিল – অারাকান।

জলকেলি যাদের উৎসব – রাখাইনদের।

ত্রিপুরাদের ভোজানুষ্ঠানকে বলে -সামৌং

গারোদের ঐতিহ্যবাহী চাষ পদ্ধতি – জুমচাষ।

গারোদের ভাষার স্থানীয় নাম – মান্দি ভাষা।

পাঙনরা যে ভাষায় কথা বলে – মৈ তৈ মণিপুরী ভাষায়।

খিয়াংরা ঈশ্বরকে বলে – হ্নাদাগা।

যে উপজাতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, বহুবিবাহ ও বিধবা বিবাহ প্রচলন রয়েছে – হাজং।

বাংলাদেশে মোট উপজাতি সংখ্যা – ১৫৮৬১৪১ জন।

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার – ১.১০%

চাকমা ভাষায় লিখিত উপন্যাসের নাম – ফেবো

যে উপজাতি মুসলমান – পাঙন।

উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী গেরিলা সংগঠনের নাম – শান্তি বাহিনী।

শান্তিবাহিনীর বর্তমান চেয়ারম্যান – জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা।

বাংলাদেশে উপজাতীয় প্রতিষ্ঠান অাছে – ৮টি।

যে দুটি উপজাতির পারিবারিক কাঠামো মাতৃতান্ত্রিক – গারো ও খাসিয়া।

কয়েকটি উপজাতির পরিচয়:

চাকমা :

● অবস্থান : পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।

● ধর্ম : বৌদ্ধ

● প্রধান উৎসব : বিজু

সাওতাল :

● অবস্থান : বৃহত্তর রাজশাহী ও রংপুর

● ধর্ম : নাই

● প্রধান উৎসব : সোহরাই

● দেবতাদের নাম : সিং বোঙ্গা, মারাং বকু, ওরাক, মোরেইকো।

ত্রিপুরা/টিপরা

● অবস্থান: পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা।

● ধর্ম: সনাতন

● প্রধান উৎসব : বৈসুক

● দেবতাদের নাম : হিন্দুদের কিছু কিছু দেবতা

রাখাইন :

● অবস্থান : পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, কক্সবাজার।

● ধর্ম : বৌদ্ধ

● প্রধান উৎসব : সাংগ্রাং

খাসী/খাসিয়া

● অবস্থান : বৃহত্তর সিলেট

● ধর্ম : খ্রিষ্টান

● প্রধান উৎসব : বড়দিন

● দেবতাদের নাম : উব্লাউ নাংমউ, উব্লাউ মতং, উব্লাউ সংসপাহ, উরিং কেউ, কায়িহ।

গারো :

● অবস্থান : বৃহত্তর সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ, টাঙ্গাইল।

● ধর্ম : খ্রিষ্টান

● প্রধান উৎসব : ওয়ানগালা

পাঙন :

● অবস্থান : মৌলভীবাজার

● ধর্ম : ইসলাম

● প্রধান উৎসব : ঈদুল ফিতর ও অাজহা

মণিপুরী

● অবস্থান : বৃহত্তর সিলেট

● ধর্ম : বৈষ্ণব

● প্রধান উৎসব : রাসোৎসব

খিয়াং :

● অবস্থান : বান্দরবন

● ধর্ম : বৌদ্ধ

● প্রধান উৎসব : সাংলান

তঞ্চঙ্গ্যা :

● অবস্থান: পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার

● ধর্ম : বৌদ্ধ

● প্রধান উৎসব : বিষু

ম্রো:

● অবস্থান : বান্দরবান

● ধর্ম : নাই

● প্রধান উৎসব : ক্লবপাই

ওরাও

● অবস্থান : বৃহত্তর রাজশাহী

● ধর্ম : জড়োপাসক

● প্রধান উৎসব : কারাম

পলিয়া

● অবস্থান : রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী

● ধর্ম : সনাতন

● প্রধান উৎসব: দূর্গাপূজা

মাহাতো :

● অবস্থান : বৃহত্তর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ

● ধর্ম : সনাতন

● প্রধান উৎসব : সহরায়

রবিদাস:

● অবস্থান : সিলেট, হবিগঞ্জ, নওগাঁ।

● ধর্ম : সনাতন

● প্রধান উৎসব : মাঘীপূর্ণিমা

হাজং

● অবস্থান : বৃহত্তম ময়মনসিংহ বিভাগ ও সুনামগঞ্জ।

● ধর্ম : সনাতন

● দেবতাদের নাম : হিন্দুদের প্রায় সব দেবদবী।

রাজবংশী :

● অবস্থান : রংপুর, শেরপুর

● ধর্ম : প্রকৃতি পূজরি

উপজাতিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র :

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমী – বিরিশিরি, নেত্রকোনা।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট – রাঙ্গামাটি।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট – বান্দরবান।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট – খাগড়াছড়ি।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র – কক্সবাজার

মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী – মৌলভীবাজার

রাখাইন সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট – রামু, কক্সবাজার।

রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচাল একাডেমী – রাজশাহী

Comments
* The email will not be published on the website.
I BUILT MY SITE FOR FREE USING